সফলতার গল্প
জীবনের শুরুতেই সবাই নিজেকে ভবিষ্যতের জায়গায় কল্পনা করে। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে University পড়তে চাই, কেউ ইঞ্জিনিয়ার Engineering হতে চাই আবার কেউ Medical পড়ে ডাক্তার Doctor হতে চাই।
ইন্টারমিডিয়েটের সময়টা জীবনের সব দিক থেকেই টার্নিং পয়েন্ট। যদি ভালো কিছু করতে চাও? তাহলে এটাই উপযুক্ত সময়। আবার যদি বখে যেতে চাও, তার জন্যও এটাই উপযুক্ত সময়। তুমি কি করতে চাও? সেটা পুরোটাই তোমার চিন্তা ভাবনার উপর নির্ভর করবে। আমার তীব্র ইচ্ছা ভালো কিছু করার। ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল, বড় হয়ে ডাক্তার হব। এসময়টা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি গ্রামের মেয়ে, আমার আশেপাশে কাউকে পাইনি, যে আমাকে ডাক্তারি পড়তে হলে কি করতে হবে তার সঠিক গাইড লাইন দিবে। তবে এমন অনেককেই পেয়েছি যাঁরা আড়ালে বা কখনো সামনাসামনিই উপহাস করে বলেছে, “মেয়ে নাকি ডাক্তার হতে চাই।” কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো শিক্ষকদের সাহচর্যে আসতে পেরেছি যারা আমাকে আমার বাবা মায়ের পরে সর্বোচ্চ উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁদের কাছেই পেয়েছি প্রোপার গাইড লাইন, এগিয়ে চলার পথে অনুপ্রেরণা। এসএসসি তে GPA5 পাওয়ার পর আমার মধ্যে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা আরও বেড়ে যায়। আমি রাত জেগে পড়তে পারতাম না। অনেকে বলতো ইন্টারমিডিয়েট এ প্রচুর পড়তে হয়, সায়েন্স নিয়ে পড়াটা হচ্ছে সাপের সাথে খেলা করার মতো। কথা সত্য যে সময়ের তুলনায় সিলেবাসটা অনেক গুন বড়, পড়তে হয় বেশী। কিন্তু আমি তো রাত জেগে পড়তে পারি না! রাত জেগে পড়ার অভ্যাসটা কলেজে উঠার পর করার চেষ্টা করেছি, পারিনি। আমার মা আমায় রাত জেগে পড়তে নিষেধ করত। বারণ করা সত্ত্বেও একদিন রাত জেগে পড়ার চেষ্টা করেছি, পড়াতো হয়ই নি উল্টো পরের দিন মাথার যন্ত্রণায় বিছানা থেকে উঠতেই পারিনি। আমার বাবা-মা কেউ-ই কখনোই আমাকে পড়ার জন্য প্রেশার দেয়নি। তারা যদি প্রেশার দিত তাহলে হয়তো রাত জেগে পড়ার অভ্যাসটা হয়ে যেত। আমি বুঝতাম সিলেবাসটা অনেক বড়, সময় খুবই কম। আবার রাত জেগে পড়তেও পারিনা..
কিন্তু এভাবে তো সিলেবাস টা শেষ হবে না। আমি যেটুকুই পড়তাম মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম, আর রেগুলার ক্লাস করতাম। তাই আমি ভাবলাম ক্লাসের পড়াগুলো যদি ক্লাসেই করে ফেলি তাহলে আমার রাত জেগে পড়ার দরকার হবে না। তো আমি চেষ্টা করতাম ক্লাসের পড়াগুলো ক্লাসেই করে ফেলার। আর যে গুলো পড়তে পারতাম না তা বাড়িতে পড়তাম। অনেকের বাবা মা তাদের ছেলে মেয়েদের পড়ার টেবিলে জোর করে পড়ার জন্য বসিয়ে রাখেন, আবার নিজেও বসে থাকেন সন্তান ঠিক মতো পড়ছে কিনা দেখার জন্য। কিন্তু আমার বাবা-মা আমি পড়ছি কী না তা দেখতেন না। আমি না পড়লেও তারা কিছুই বলতেন না। আামার পড়ার টেবিল নাই, বিছানায় পড়তে পড়তে কখন ঘুমিয়ে যেতাম ঠিক ছিল না। তারা দেখত আমি ঘুমাচ্ছি, ডেকেও দিত না। ঘুম ভাঙলে যখন দেখতাম আমার পড়া হয় নি, খুব রাগ হতো। তখন নিজেই বাবা মাকে বকাবকি করতাম। যে আমাকে কি মিনিমাম পড়ার কথাটুকুও বলা যায় না!!! তাদের কথা- যদি নিজে থেকে পড়তে ইচ্ছে না হয়, বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে রাখলেই কি পড়া হয়! তোর যখন ভালো লাগে তখন পড়বি, যেভাবে ভালো লাগে সেভাবে পড়বি। যদি স্বপ্ন পূরণ করতে চাস তো নিজ তাগিদেই পড়বি, পড়ার কথা বলা লাগবে কেন? আমি স্বপ্ন দেখেছি, আমার ওপর চাপাই দেয়া হয়নি যে ডাক্তার হতেই হবে। অতএব, আমাকেই পড়তে হবে জোর করে পড়তে বসানো লাগবে কেন!! বাবা মা তো ঠিকই বলেছে। বুঝেছিলাম, যদি পড়ি স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আর যদি না পড়ি তবে শ্বশুর বাড়ি! এটি মেয়েদের জন্য মাস্ট। আমি পড়াশোনাকে দায়বদ্ধতার জন্য নিইনি, আনন্দের সাথেই নিয়েছি, আনন্দের সাথেই পড়েছি। কারণ ডাক্তার হতে হবে তো!!! ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছাটা আমার প্রচন্ড প্রচন্ড। তাই পড়াশোনাই চাপ নয় আনন্দটাই বেশি খুঁজতাম। আমাদের মধ্যে অনেকে ছিল যারা ডাবল প্রাইভেট পড়ত। ক্লাস ঠিক মতো করতো না। আমি ভাবতাম, যদি কলেজের ক্লাসগুলো রেগুলার করি তাহলে ডাবল প্রাইভেট পড়ার কোনোই দরকার নাই। যতটুকু দরকার অতটুকুই প্রাইভেট পড়ছি। আমার আর্থিক অবস্থা অতো ভালো নয়। যেখানে পড়ছি আমার শিক্ষকরা আমায় অনেক সাহায্য করেছে। আলহামদুলিল্লাহ। তাঁদের জন্য আমি বুঝতে পেরেছি, জীবনে এগিয়ে চলার পথে টাকার সমস্যাটা বাধা নয়। দৃঢ় মনোবল থাকা খুবই দরকার। প্রতিদিন দুইটা প্রাইভেট পড়ে, ক্লাস করে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত হয়ে যেতাম। তাই বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে খুব অল্পই পড়ার প্রতি মনোযোগ দিতে পারতাম, রাত ১১ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতাম। আর ফজরের নামাজের সময় উঠতাম। যেহেতু ক্লাসের পড়াগুলো ক্লাসে করে ফেলার অভ্যাসটা ছিল তাই কোন সমস্যা হতো না, একটু মনোযোগ দিলেই হয়ে যেত।
আমার একটা অভ্যাস ছিল, এখনও আছে। জানি না, এটা খারাপ না ভালো! আমার একটা ইচ্ছা কাজ করে যে, আমায় হঠাৎ কোনো পরীক্ষায় বসতে দেয়া হোক, যার কোনো প্রিপারেশন আমি নেয়নি। surprise test, যার জন্য আমি ইমিডিয়েট কোনো কিছু করি নাই, যেটার জন্য আমার পুঁজি হবে এ যাবত করা সকল কিছু! আমি দেখব আমার সারপ্রাইজিং ফলাফলটা কি আসে। কো-কারিকুলার এক্টিভিটিজ গুলোই আমি এ কাজটা বেশি করতাম। তবে কোনো পজিশন নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করে কোনো পরীক্ষায় বসলে আলহামদুলিল্লাহ আমি পেরেছি। ব্যর্থ হয়নি। এখান থেকে এটা বুঝতাম যে, আমি যদি চেষ্টা করি তবে আমি স্বপ্ন সিঁড়িতে পৌঁছাতে পারব। কলেজে যে সাময়িক পরীক্ষাগুলো হতো, তাতে আমি ভালো করতে পারিনি। তবে প্রত্যেক পরীক্ষা শেষে ভাবতাম যেভাবে পড়েছি তা যথেষ্ট নয়। আরও ভালো করে পড়তে হবে। মনোযোগটা আরও বাড়াতে হবে। রেজাল্ট ভালো করতে পারিনি বলে মন খারাপ হতো ঠিকই, কিন্তু সাময়িক এ ভালো রেজাল্ট করিনি বলে যে ভালো করতে পারব না এটা ভাবিনি। আশা ছাড়িনি কখনোই। সবসময়ই আল্লাহর স্মরণ নিয়েছি, ধীর স্থির ভাবেই পড়েছি আর স্বপ্ন পূরণের পথে পজিটিভ থাকার চেষ্টা করেছি যে, আমি অবশ্যই পারব। ধাপে ধাপে আগানোই উত্তম। একেবারে গাছের মাথায় লাফিয়ে উঠা যায় না। অনেকেই বলে অ্যাডমিশনের টাইমেই ভালো করে পড়েছি, দিন রাত এক করে দিছি, ৩ মাস পড়েই চান্স। হতে পারে, তার ক্ষেত্রে এটা তো মিরাকল। কিন্তু আমার বা আর বাকি সবার তো ঐ ব্যক্তির মতো মিরাকল নাও হতে পারে। জীবনে একটা পরিচয় গড়ে তুলতে বুদ্ধিমানের কাজ ইন্টারমিডিয়েট আর অ্যাডমিশন দুটোকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া। ইন্টারমিডিয়েটের সময়টা আমি ভালো করে পড়ার চেষ্টা করেছি যে আমাকে অ্যাডমিশনের সময়টায় ঝামেলায় পড়তে না হয়। অ্যাডমিশনের আগে তো আমার এইচএসসি। তাই আমার প্রথম ফোকাস ছিল এইচএসসি। প্রত্যেকটা টপিক বেজ ক্লিয়ার করে পড়েছি। পরীক্ষার আগে নতুন টপিক না ধরে যে গুলোতে বেজ ক্লিয়ার আছে সেগুলো রিভিশন করেছি। আমার পরীক্ষাটা ভালো হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর আমার মনে হয়েছে যে, আমি এখন মেডিকেলের জন্য কোচিং করতে পারি। ইন্টারমিডিয়েটের সময়টা বেজ তৈরির জন্য আর অ্যাডমিশন টাইমটা প্র্যাকটিসের জন্য। যেহেতু বেজ ক্লিয়ার করে পড়েছি, তাই অ্যাডমিশনের সময়ে আমায় পড়াশোনা রিলেটেড তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয় নি। দুই একটা নতুন কিছু সামনে আসলেও জটিল মনে হয়নি। আমি কোচিং এর সকল ক্লাস গুলো করেছি, রেগুলার পরীক্ষাগুলো দিয়েছি। প্রত্যেক পরীক্ষার রেজাল্ট থেকে আমার অবস্থানটা বোঝার চেষ্টা করেছি। কিভাবে আরও ভালো করা যায় তার চেষ্টা করেছি। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করেছি। একবার ভালো করে পড়ে নিতাম, যদি সময় সুযোগ পেতাম তবে রিভিশন দিতাম। মেসে থেকেছি, খাওয়া, ঘুম, গোসল, নামাজ ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। পড়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছি। তাই বলে সারাক্ষণ পড়েছি তাও নয়। যখনই পড়েছি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। আমার রাত জাগার অভ্যাস না থাকলেও এ সময়ে আমি আমার রুমমেটদের সাথে পড়তে গিয়ে রাত ২-৩ টা পর্যন্ত পড়েছি, কখন সময় পার হয়ে যেত খেয়ালই থাকত না। মেসের সবাই -ই ছিলাম অ্যাডমিশনের, পড়ার মাঝে হাসি গল্প আড্ডাও দিতাম প্রচুর। বাড়ির বাইরে এই প্রথম থাকা, বাবা মায়ের কাছ থেকে অনেক দুরে। খুব কষ্ট হতো খারাপ লাগতো, কান্নাও করতাম। বাড়িতে ফোন দিয়ে কথা রোজ ই বলতাম তবুও ভালো লাগত না। কোচিং এ ছুটি পেলে সবাই মিলে ঘুরতে যেতাম। এটা ছিল রিফ্রেশমেন্টের জন্য। কারণ মন ভালো না থাকলে পড়াশোনা করতে পারব না। যাই করছি, পড়াশোনাটা ঠিক রেখে করেছি। কোচিং এ সব পরীক্ষায় ভালো করতে পারতাম না। যখন আমি খারাপ করতাম বাড়িতে ফোন দিয়ে বলতাম মাকে যে ওরা সবাই ভালো করেছে, আমি খারাপ করেছি। তখন মা বলত, তুমি যেটুকু পার অতটুকুই যথেষ্ট। টেনশন করো না। ধীর স্থির ভাবেই পড়তে থাকো। অতো পড়ার দরকার নাই, মাথায় যন্ত্রণা করবে। অল্পই পড় মন দিয়ে। অবশ্য ই ভালো করবে। আমি সব সময়ই চাইতাম যে আমি পারব এই উৎসাহ আমায় কেউ দিক। আমার মা আমায় সব সময়ই সেই উৎসাহ টা আমায় দিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধায় মায়ের সাথে কথা বলেই পড়া শুরু করতাম। আমি সব সময়ই আমার মা কে পাশে পেতে চাই।
একটা কথা শেয়ার করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না। কোচিং এ ভর্তি, মেসের থাকা খাওয়ার খরচ চাওয়ার সাথে সাথেই দেওয়া আমার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার বাবা আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তার এক সময় কষ্টের টাকা দিয়ে কিনে রাখা জমি বিক্রি করে দিল। শুধু আমার স্বপ্নটা পূরণ হয় তার জন্য বাবার কষ্ট হলেও জমিটা বিক্রি করে দেয়। এতে অনেকে অনেক কথা বলেছে আমার বাবাকে। যে মেয়ের জন্য জমি বিক্রি করে দিলে, লোকে ছেলের জন্য করে আর মেয়ে তোমায় কি দিবে, সেই তো পরই হয়ে যাবে। মেয়ের জন্য করে কোনো লাভ নাই। যদি ছেলের জন্য করতে তাও কোনো কাজে আসত। মেয়েকে পড়িয়ে কোনো লাভ আছে! আমার বাবা অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল। তিনি শুধু বলেছিলেন, আমার মেয়ে পারবে। লোকের কথায় আমি কষ্ট পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু বাবার চোখে বিশ্বাস দেখে আমি মনোবল পেয়েছিলাম। আমার (মেডিকেলে পড়া) ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা আমার বাবাকে ঘিরেই। কে কী বলল না বলল এতে কান করি নাই। লোকের বলা এসকল কথা আমার মনোবল দুর্বল নয়, বরং দৃঢ় করেছিল, আমাকে ডাক্তার হতেই হবে। যখনই পড়ার মাঝে অন্য মনস্ক হয়ে পড়তাম, এই সকল কথা স্মরণ করে আবার পড়া শুরু করতাম। পড়াশোনা করার সময় বাবা মায়ের কথা ভাবতাম, আমার শিক্ষকদের কথা ভাবতাম যে তাঁদের জন্য আমায় কিছু করতেই হবে। আমার চেষ্টাই যেন কোনো ত্রুটি না থাকে। অ্যাডমিশনের সময়ে অনেক প্র্যাকটিস করেছি। আমি কোচিং ছাড়া অন্য কোথাও ক্লাস করিনি, অন্য কোথাও এক্সাম ব্যাচে ভর্তি হয়নি। টেক্সট বুক ভালো করে রিভিশন দিয়েছি। সাধারণ জ্ঞান আর ইংরেজির জন্য কোচিং থেকে যে বই দিয়েছিল ওইটা ফলো করেছি। বিগত বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সলভ করেছি। ভর্তি পরীক্ষার আগের দিনে জানা জিনিসগুলো রিভিউ দিয়েছি। তারপর পরীক্ষা, পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। আর আমি মেডিকেল এ চান্স টা পেয়ে যায়। সাফল্য এমনিতেই আসে না, সবার সাফল্যের পেছনেই ছোট বড় অনেক গল্প, গল্পের সমষ্টি লুকায়িত থাকে। ক্লাসে বা কোচিং এ বড় আপু ভাইয়াদের সাফল্যের গল্প শুনতাম। তারা যখন তাদের কথা বলত আমি কল্পনায় ভাবতাম আমিও একদিন তাঁদের মতো আমার গল্প বলব। তাঁদের মোটিভেশনাল কথা আমায় স্বপ্ন পূরণে অনুপ্রেরণা যোগাত। সবারই কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তবুও তাঁরা সফল। আমারও অনেক সমস্যা হয়ছে। তখন মনে করতাম বড় আপুদের ও অনেক সমস্যা ছিল, তাঁরা পেরেছে তাঁদের থেকে আমার সমস্যা বড় না, অতএব আমি কেন পারব না? আমাকে পারতেই হবে। আমি মনে করতাম এটাই আমার সুযোগ, আর একবারই। দ্বিতীয় কোনো সুযোগ আমার নেই। আমাকে পারতেই হবে।
আর্থিক অস্বচ্ছলতা স্বপ্ন পূরণের জন্য কোনো বাধা নয়। কারণ আশপাশে অনেক ব্যক্তিবর্গ, সংস্থা রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত মেধার বিকাশে, মেধা বাঁচাতে সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাই স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে সমস্যাকে বড় করে না দেখে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। সাফল্যের জন্য চাই নির্দিষ্ট লক্ষ্য, তীব্র ইচ্ছাশক্তি, প্রচেষ্টা। পজিটিভ চিন্তা ভাবনা নিয়ে পড়াশোনা করেছি, স্যারদের দেওয়া গাইড লাইন ফলো করেছি, সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমি স্বপ্নের সিঁড়িতে পা রাখতে পেরেছি। এ পাওয়ার পরে বড় পাওয়া আমার বাবা মায়ের মুখের হাসি। আমার জন্য দোয়া করবেন।
অনামিকা ইয়াসমিন, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ