সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিন শতাধিক বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণের ফলে এই বিধিমালা প্রণয়ন করতে হয়েছে।
পূর্বে বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণ হলে শিক্ষকদের ক্যাডারশীপ দেয়া হলেও নতুন বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের নন ক্যাডার দেয়া হচ্ছে ।
বেসরকারি কলেজ থেকে সরকারিকরণের ফলে শিক্ষকগণ পূর্বে যে পদে ছিলেন সেই পদেই বহাল থাকবেন নতুন নীতিমালা অনুযায়ী।
আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ নীতিমালা অনুযায়ী অধ্যক্ষ ননক্যাডার, সহকারী অধ্যাপক নন ক্যাডার, প্রভাষক ননক্যাডার পদ রাখা হয়েছে। কর্মচারীসহ যে যে পদে আছেন সেই পদে বহাল থাকবেন।
৫টি কারণে নিয়োগে অযোগ্য হতে পারেন, যদি-
ক) আপনি বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক না হয়ে থাকেন অথবা এ দেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন।
খ) স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক গঠিত বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী শারীরিক ফিট না থাকে।
গ) বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কাউকে বিবাহ বা বিবাহের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে থাকেন।

ঘ) যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্তের ফলে যদি দেখা যায়, আপনি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগের অযোগ্য।
ঙ) সরকারি চাকরিজীবীর অবসর গ্রহণের বয়স অপেক্ষা যদি আপনার বয়স বেশী হয়।
চাকরিতে যোগদানের তারিখ হতে উক্ত কলেজেই ধারাবাহিক দুই বছর চাকরী করা হলে স্থায়ীকরণ করা হবে।
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী ক্যাডারভূক্তি
সরকারিকৃত কলেজের কোন শিক্ষক তা যে পদেরই হোক না কেন, ক্যাডার ভূক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলে প্রভাষক পদে ক্যাডার ভূক্তি হতে পারবেন।
জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণ
জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেসরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণের জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষক কর্মচারীদের জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণ হবে।
রকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ পদায়ন ও বদলি
আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ নীতিমালা অনুযায়ী সরকারিকৃত কলেজের কোন শিক্ষক ও কর্মচারী বদলী হতে পারবেন না। তবে শিক্ষা ক্যাডারভূক্ত হলে বদলি যোগ্য হবেন।
চাকরিকাল গণনা
বিধিমালা অনুযায়ী কলেজ সরকারিকরণের পূর্বে ধারাবাহিকভাবে যে চাকরি কার্যকাল থাকবে তার অর্ধেক চাকরিকাল গণনা যোগ্য হবে।
আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ নীতিমালা ডাউনলোডের জন্য ক্লিক করুন।
আরো পড়ুন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি অথবা গভর্নিং বডি সহকারী লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিতে পারবে না।