How to get the highest mark in the physics Exam? highest marks exam
কীভাবে মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ স্কোর করা সম্ভব?
মজার ব্যাপার হলো, এটি বেশীরভাগ শিক্ষার্থীদের একটি সাধারণ প্রশ্ন।
তোমরা নিশ্চয়ই জানো বিজ্ঞান হলো পরীক্ষা নিরীক্ষা হতে প্রাপ্ত জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিই বিজ্ঞান। প্রকৃত পক্ষে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞানের পৃথক পৃথক ডেফিনেশন বা সংগা আছে। তাহলে তোমাকে শুরুতেই জানতে হবে, পদার্থবিজ্ঞান কী? এর পরের প্রশ্ন হলো, পদার্থবিজ্ঞানের পরিসর কী? অর্থ্যাৎ পদার্থবিজ্ঞান কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। highest marks exam
পদার্থবিজ্ঞান বস্তু ও শক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। মাত্র এই দুটি বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা যায় পদার্থবিজ্ঞান দ্বারা। এখন তোমাকে যদি প্রশ্ন করি, শুধু পৃথিবীই নয় বরং মহাবিশ্বে এমন কিছু কী আছে, যা বস্তু অথবা শক্তির বাইরে?
RUET Admission Guideline
যেমন ধরো, পাহাড়-পর্বত, মানুষ, গরু সব কিছুই বস্তু। অপরদিকে, আগুন, আলো এগুলো শক্তি। এমন কী ভালোবাসাও শক্তি। শক্তি মানে তার একটি বিশেষ সামর্থ্য আছে। শক্তি সব কিছুকে পরিবর্তন করতে পারে। শক্তি দ্বারা ভালো কিছু তৈরি করাও যায় আবার ভালো কিছু ধ্বংস করাও যায়। তুমি এখন বলো, বস্তু ও শক্তির বাইরে কি কি আছে?
তুমি হয়ত উত্তর খুঁজে বলতেও পারো। কিন্তু আমার জানা নাই। পদার্থবিজ্ঞান কি কি ব্যাখ্যা করতে পারে? আমার জানামতে প্রকৃতি জগতের জন্ম রহস্য থেকে সংসার জীবনের নানান টানা পড়েন পদার্থবিজ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। ধরো, তুমি একজনকে বললে-আসসালামুআলাইকুম। সে তোমাকে প্রতিউত্তরে বলবে, ওয়ালাইকুমুসসালাম। তুমি আদাব বললে, উত্তর আসবে আদাব। কিংবা গুড মর্নিং বললে উত্তর পাবে গুড মর্নিং। তাই না? এখন যদি তুমি হঠাৎ একজনকে গালি দাও। তাহলে সে তোমাকে গালি দেবেই। এটি পদার্থবিজ্ঞানের তৃতীয় সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। “প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।” কী, বিষয়টি ইন্টারেটিং তাই না? highest marks in Physics exam
ভেক্টর মাস্টার ক্লাস
আমরা প্রসংগে ফিরে আসি। পদার্থবিজ্ঞানে ভালো স্কোর কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে একটু কথা বলি। পদার্থবিজ্ঞান যেহেতু বস্তু ও শক্তি নিয়ে আলোচনা করে, তাই এখানে অধিক সংখ্যক গাণিতিক হিসাব নিকাশ করতে হয়। এখানে খুব সূক্ষ্ম হিসাব করতে হয়। বিভিন্ন সূত্রের ব্যবহার করে অতি ক্ষুদ্র বস্তু যেমন ইলেক্ট্রনের ভর ও হিসাব করতে হয় আবার পৃথিবী সূর্যের ভরও হিসাব করতে হয়। গাণিতিক হিসাব শুরু করার আগে একটু চোখ কান খোলা রাখতে হয়। কোন সূত্রের ব্যবহার করলে কাজটি সহজ হবে ও সময় বাঁচবে এটি খেয়াল রাখতে হয়। প্রতিটি মূহুর্তই এখানে ইন্টারেস্টিং কেননা, তোমার উত্তর হচ্ছে কী না? তা তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।
to get highest marks in Physics exam
মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান সিলেবাসটি আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারি
#গতি অধ্যায়ে পরম ও আপেক্ষিক গতি, বেগ, ত্বরণ ও সময়ের সাথে অবস্থান ও বেগ পরিবর্তনের বিভিন্ন গ্রাফ নিয়ে আলোচনা করেছে। #বল অধ্যায়ে গতির সূত্র, ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র #কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি অধ্যায়ে গতিশক্তি, বিভবশক্তি, কর্মদক্ষতা #পদার্থের অবস্থা ও চাপ বিষয়ে আর্কিমিডিস ও প্যাসকেলের সূত্র #বস্তুর উপর তাপের প্রভাব অধ্যায়ে তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেল #তরঙ্গ ও শব্দ অধ্যায়ে প্রতিধ্বনি সংক্রান্ত হিসাব নিকাশ। #আলোর প্রতিফলনে দর্পনে বিভিন্ন বিন্দুতে লক্ষ্য বস্তু ও বিম্ব তৈরি ও তার অবস্থান প্রকৃতি #আলোর প্রতিসরণ অধ্যায়ে লেন্সের বিভিন্ন বিন্দুতে লক্ষ্যবস্তু ও বিম্বের অবস্থান প্রকৃতির হিসাব ও চোখের ত্রুটি, # স্থির বিদ্যুতে কুলম্বের সূত্র #চলবিদ্যুতে তড়িৎ ব্যবহারের হিসাব ও ওহমের সূত্র, #বিদ্যুতের চৌম্বক ক্রিয়ায় ট্রান্সফর্মারের তড়িৎ প্রবাহ ও সলিনয়েডের প্যাঁচ সংখ্যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্সে ডায়োড, সিগনাল, অর্ধায়ু সব সময় চোখের সামনে রাখতে হবে।
একটি বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে, পদার্থবিজ্ঞানে ভালো করার উপায় হলো-পড়া মাত্রই তা লিখতে হবে। গাণিতিক সমস্যা সমাধান একবার করেই ক্ষান্ত দিলে হবে না। তা বারবার চর্চা করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে একটু মেমোরাইজ করা উচিৎ। to get highest marks in Physics exam